আবহাওয়া ও জলবায়ু ভারসাম্য রক্ষায় বনাঞ্চল সৃষ্টি ও বন সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা এখন খুবই দরকার। কিন্তু আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, সরকার দীর্ঘদিন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামাজিক বনায়নের চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আঞ্চলিক দলের নেতিবাচক অবস্থানের কারণে পাহাড়ে সামগ্রীক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারপরও আমরা বন বিভাগের সাথে আলোচনা করছি বিশেষ কোন উপায়ে এখানে বনায়ন করা যায় কিনা।
বুধবার (২০ জুলাই) সকালে বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি পরিবেশ আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ এ শ্লোগানে রাঙ্গামাটির পৌরসভা প্রাঙ্গণে ৭ দিন ব্যাপী বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম ফেরদৌস ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র।
রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, বৃক্ষ মানুষের পরম বন্ধু। পরিবেশ ও মানব জীবনে বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। সুস্থ প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র রক্ষা করে বৃক্ষ। মানুষকে বাঁচার জন্য অক্সিজেন দেয় বৃক্ষ। কিন্তু গাছ কাটার তুলনায় নতুন গাছ লাগানো হচ্ছে কম। এতে পরিবেশ উষ্ণ হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পৃথিবীতে। যার ফলে অসময় অনাবৃষ্টি, খরা, অতিবৃষ্টি, প্রচন্ড তাপদাহ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাসসহ নানা দুর্যোগ ঘটে চলেছে। তাই আসুন পরিবেশ রক্ষা ও আমাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে আমরা বেশী করে গাছ লাগানোর আহবান জানান তিনি।
উদ্বোধন শেষে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপণ করেন অতিথিরা।
এর আগে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সচেতনতা মুলক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীর নেতৃত্ব দেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। র্যালীটি রাঙ্গামাটির প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর চত্বরে এসে শেষ হয়।
এবারের মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ এবং ভেষজসহ ১২টি স্টল সপ্তাহব্যাপী এই মেলায় অংগ্রহণ করছে।