ময়মনসিংহের ভালুকায় বোমা ফাটিয়ে ও গুলি করে সোনার দোকানের হামলা চালিয়ে প্রায় ২শত ভরি সোনা লুট করে নিয়ে গেছে সক্সঘবদ্ধ ডাকাদল। এ সময় ডাকাতদলের হামলায় দোকান মালিক অধীর কর্মকারসহ দুইজন আহত হয়েছে। আহতদেরকে ভালুকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত পৌনে ৯ টায় ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রদীপ জুয়েলার্স দোকানে। পুলিশের ক্রাইমসিন.ডিবি ও র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০ জুলাই রাত পৌনে ৯টায় ৪/৫ জনের একটি সংঘবদ্ব ডাকাতদল ককটেল ফাটিয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে দুইতশ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতদল একটি প্রাইভেটকারে এসে প্রদীপ জুয়েলার্সে ডুকে দোকান মালিক অধীর কর্মকতার ও তার ভাই সুধীর কর্মকারকে অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে। এ সময় অধীর কর্মকার ডাকাতের সাথে ধস্তাধস্তি করলে তার পায়ে গুলি ও মাথায় দা দিয়ে কুপ দেয়। অধীর কর্মকার দোকানের মেঝেতে পড়ে যায়। ডাকাতদল স্বর্ণ লুট করে বোমা ফাটিয়ে একটি প্রাইভেট কারের গফরগাঁওয়ের দিকে চলে যায়। এ সময় বোমার স্প্রিন্টারের আঘাতে অজ্ঞাত আরো দুই পথচারী আহত হয়। আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকতারকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা ও পড়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের হার্ডওয়ার দোকান মালিক শাহিন জানান, পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরনের কারণে বিকট শব্দে আশপাশ এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধাকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বোমার শব্দে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিদ্যুৎ ছিলোনা। একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে ২ জন লোক দোকানে ডুকে। আর দুইজন সড়কের দুই পাশে পরপর ককটেল নিক্ষেপ করে। স্বর্ণের দোকান মালিক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে এবং দোকানের সব সোনা লুট করে নিয়ে গেছে।
আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকারের ভাই সুধীর কর্মকতার জানান, আমার ভাই ও আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রায় ২শত ভরি সোনা ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।