রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই বিনয়ের বিরুদ্ধে কোনা মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই দুই জনকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে লকআপে ঢুকিয়ে রাখা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
এস,আই বিনয় দ্বারা এমন অহেতুক হয়রানী, মারধর ও আইন বিরোধী কাজ করায় পরিত্রাণ পেতে এসব অভিযোগ লিখত আকারে ভূক্তভোগীরা সিনিয়র সহাকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোদাগাড়ী সার্কেল আসাদুজ্জামানের কাছে রোববার (২৪ জুলাই) লিখত অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী স্বপন কাজী ও লিটন সরকার।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের গোগ্রাম গ্রামের মৃত জলিল কাজীর ছেলে স্বপন কাজী ও লতিফ সরকারের ছেলে লিটন সরকার গোগ্রাম সাকুরা গ্রামের আইয়ুব আলী ছেলে দাঙ্গাবাজ আবদুর রহিমের কাছ থেকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগনের মাধ্যমে ১৮ শতক জমি উদ্ধার করা হয়। আবদুর রহিম ওই সালিশ অমান্য করে প্রেমতলী পুলিশ তদন্দ কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এস.আই বিনয় গত ১০ জুন জমিতে আসিয়া আবদুর রহিমকে দখল বুঝিয়া দেয়।
এছাড়াও গত ২৫ জুন সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে সাদা পোশাকে আবারও এস.আই বিনয় ও তার ২ জন সহযোগী তাদের বাড়ী থেকে হঠাৎ করেই কোন মামলা ছাড়াই ও বিনা ওয়ারেন্টে জোর পূর্বক ভাবে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রাস্তায় মারধর করতে করতে প্রেমতলী পুর্লিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে লকাপে ঢুকিয়ে রাখে।
পরবর্তিতে গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম তাদের ছেড়ে দিতে বললে এস.আই বিনয় ছেড়ে দেয়। ওসির নির্দেশে সেদিন তাদের দুজনকে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেওয়ার দিন কাজী স্বপনের ভাতিজা আকিব ও লিটন সরকারে ছেলে পলক প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গেলে এসঅ.আই বিনয়ের সাখে পরিচয় হয়। এর দুদিন পর এস.আই বিনয় তাদের দুজনকে মোবাইল ফোন করে ছেড়ে দিয়েছি বলে ৫ হাজার টাকা দাবি করতে থাকে। এস.আই বিনয়ের চাপে ও ভয়ে তারা তিন হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়।
লকআপ থেকে বের হয়ে আসার পর তাদের দুই ভাতিজার মাধ্যমে জানতে পারে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এস.আই বিনয় তাদের ধরে নিয়ে যায়।
এছাড়াও তারা আরো অভিযোগ করেন, গত ২২ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আবারো এস.আই বিনয় স্বপনের বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ২ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখায়।
ওয়ারেন্ট ও মামলা ছাড়া হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর ও লকআপে রাখার বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে এস.আই বিনয় বলেন, এসব বিষয়ে আমি আপনাকে বলতে পারবো না আমার ডিউটি আছে বলে দ্রুত ফোনটি কেটে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি আমি দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করবো। অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও আমাদের এসপি স্যার এসবের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেন না। এসপি স্যারের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথাও হয়েছে।