পাবনার সুজানগরের নাজিরগঞ্জ এবং রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া পদ্মা নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় গত ৭/৮দিন হলো ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ওই রুটে চলাচলকারী দূর পাল্লার বাস এবং অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান বলেন নাজিরগঞ্জ-ধাওয়াপাড়া নৌ-রুটে দু'টি ফেরি চলাচল করে। প্রতিদিন ফেরি দু'টিতে বগুড়া থেকে বরিশালগামী ৪টি বাস এবং অগণিত মালামালবাহী ট্রাক ও মাইক্রোবাস যাতায়াত করে। সেই সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণও ওই ফেরিতে পার হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।
কিন্তু গত ৭/৮দিন হলো নদীর পানি একদম কমে যাওয়ায় ফেরি দু'টি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ঐ সকল বাসের যাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বগুড়া শহরের ধান ব্যবসায়ী আবদুর রউফ বলেন আমি প্রতি সপ্তাহে দুইদিন ট্রাকযোগে দিনাজপুর থেকে বরিশাল শহরে ধান পাঠাই। কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অন্যরুটে ধান পাঠাতে হচ্ছে।
এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিরাজগঞ্জ বিএডিসিতে কর্মরত বরিশাল শহরের বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার অফিস শেষে বাড়ি যাই। কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধের কারণে বরিশালগামী বাস বিআরটিসি না চলায় যেতে পারছি না। তবে স্থানীয় জনসাধারণ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পদ্মা নদী পার হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুনর রশিদ বলেন পদ্মা নদীর পানি একদম কমে গেছে। অনেক সময় যাত্রীবাহী ঐ ইঞ্জিন চালিত নৌকাও পদ্মা নদীর ডুবো চরে আটকে যায়। এ সময় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ব্যাপারে বিআই ডব্লিউটিএ'র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ বলেন পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক কমে গেছে। তবে নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য শিগগিরই ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে।