ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল ও পায়রা বন্দর হয়ে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের আওতাধীন জমি-বাড়ি ও স্থাপনার মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
অবিলম্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তাদের অনিশ্চিয়তা ও শঙ্কা দূরীকরণের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পেশ করা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা-বরিশাল-পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে কুয়াকাট পর্যন্ত রেললাইন নির্মানের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে গত ২০১৮ সালে জরিপ চালানো হয়। ওই জরিপে ঘরের পরিমাপ, ছবি তোলা, বাাড়র গাছের হিসেব নিকেশ করার পরে প্রতিটি ঘরে একটি নাম্বার দেয়া হয়েছে। সেই থেকে প্রায় চারবছর হয়ে গেলেও প্রস্তাবিত রেললাইন স্থাপনের সঠিক কোন সিদ্ধান্ত মিলছেনা। ফলে জমি ও বাড়ির মালিকরা তাদের বাড়ি ঘরের সংস্কার, জমি বিক্রি বা কোনরকম উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছেন না।
তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে জমির মালিকরা বলেন, আমরা চাচ্ছি অবিলম্বে দক্ষিণাঞ্চলে রেললাইন স্থাপন করা হোক। নতুবা বিগত চার বছর যাবত ভুক্তভোগীরা যে ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে তার একটি সমাধান করা হোক। এজন্য জমির মালিকগণ ভাঙ্গা-বরিশাল-পায়রা বন্দর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের একটি সঠিক ঘোষনা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে অনিশ্চিত অপেক্ষার হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বুধবার সকালে স্মারকলিপি গ্রহণের কথা স্বীকার করে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গ্রহণ করা স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, হারুন বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মকবুল হোসেন, আকিউর রহমান লিমন, জাকির শরীফ, মোফাজ্জল সিকদার, জাহিদুর ইসলাম, সাইদুল ইসলামসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ভূক্তভোগী।