গাজীপুরের টঙ্গী মিলগেট অলিম্পিয়া মতি মসজিদ মার্কেটে বিটিএমসি’র অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকার মুসুল্লিরা। শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ৫৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসেম, দপ্তর সম্পাদক হাসানুজ্জামান মল্লিক, একেএম শাহাবুদ্দিন মজুমদার, হারুন-অর-রশিদ, জাকির হোসেন, আবু সাকের, আবদুল জলিল, জামাল উদ্দিন, নূরুজ্জামান, আবদুর রহমান বাবু, শরিয়ত উল্লাহ গুরু, নাসির উদ্দিন, আবদুর রহিমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসুল্লিগণ।
লিখিত বক্তব্যে মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানান, অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলের তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মালিক ষাটের দশকের শুরুতে ৮০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মসজিদটি অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলের তত্ত্বাবধানেই ছিল। মিলটি জাতীয়করণের পর বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। মসজিদের ইমাম, খতিব, মোয়াজ্জিন, খাদেমদের বেতন বিটিএমসি পরিচালিত অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিল থেকেই পরিশোধ করা হতো এবং মসজিদ মার্কেটের ভাড়া মিল কর্তৃপক্ষ উত্তোলন করতো। বিগত ২০০১ সালের ২১ মার্চ অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলসহ রাষ্ট্রায়ত্ব ৯টি বৃহৎ বস্ত্রকল শ্রমিক মালিকানায় হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতিমালার আলোকে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন মিলের উদ্বৃত্ত জমি প্লট আকারে বিভিন্ন শিল্পোদ্যোক্তার কাছে হস্তান্তর করেন। উদ্বৃত্ত জমি হস্তান্তরকালে অলিম্পিয়া মসজিদ মার্কেটের ২৭টি দোকানের মধ্যে ১৭টি দোকানই হস্তান্তরিত নতুন প্লটের ভেতর পড়ায় ভেঙ্গে দেয়া হয়। মসজিদের নিজস্ব জমির ওপর বাকি ১০টি দোকানই বর্তমানে অত্র মসজিদের একমাত্র আয়ের উৎস। কিন্তু মসজিদ মার্কেটের দোকান ভাড়া বিটিএমসি সম্পূর্ণ অবৈধ ও এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে একমাত্র আয়ের উৎসটি বন্ধ হওয়ায় আর্থিক সংকটে ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক পরিচালনার অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে।
এব্যাপারে অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস-এর (বিটিএমসি) হিসাবরক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, অলিম্পিয়া মিলটি শ্রমিক মালিকানায় হস্তান্তরিত হলেও এখন সরকার তাদের কাছে ১১০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। যেহেতু তারা পাওনা পরিশোধ করেনি, সঙ্গতকারণেই মিলের মালিক এখনও পর্যন্ত বিটিএমসি। তাই বিটিএমসি’র পক্ষে দোকানের ভাড়া উত্তোলন করা হচ্ছে।