নিজের তালাক দেওয়া স্ত্রীকে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই পুলিশের জ্বালে আটকা পড়েছে ঘোড়াঘাটের মাদক সম্রাট হালিম কশাই (৫০)। জানা গেছে এই মাদক সম্রাট অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির হওয়ায় থানায় নেই কোন মামলা। ঘোড়াঘাট থানা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেলাইন গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে নবাবগঞ্জ উপজেলার হোসনে আরা নামের এক নারীর বিবাহ হয়। উভয়ে ৩ বছর সংসার করার পর জাহাঙ্গীর তাকে তালাক দেয়। তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই নারী জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তৃতি নেয়। এই মামলা থেকে বাঁচতে জাহাঙ্গীর ও তার মাদক ব্যবসায়ী বন্ধু হালিম,করিম ও করিমের স্ত্রী সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কথা মুঠো ফোনে কল করে গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে হোসনেআরাকে ঘোড়াঘাটে নিয়ে আসে। এ সময় পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উভয় পক্ষ মাদক ব্যবসায়ী করিমের বাড়ীতে বসে। এই ফাঁকে হালিম কৌশলে হোসনেআরার ব্যাগে ২০পিচ ইয়াবা রেখে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হোসনেআরাকে ইয়াবাসহ আটক করে। পরে হোসনেআরা নির্দোশ বলে পুলিশের নিকট কান্নাকাটি করে ও সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। ঘটনা শুনে পুলিশ অধিকতর তদন্ত শুরু করলে হোসনে আরাকে ফাঁসানোর বিষয়টি প্রমানিত হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরকে প্রধান আসামি করে হালিম,করিম ও করিমের স্ত্রীকে আসামি করে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে মাদক সম্রাট হালিমকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির বলেন মাদক সম্রাট হালিম ও তার সহযোগীরা হোনেআরাকে কৌশলে ফাঁসাতে চেয়েছিলো। তবে তদন্তে সত্য ঘটনা উঠে এসেছে।