দরিদ্রতার সুযোগে গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দুই কিশোরীকে জোরপূর্বক যৌনকাজ করানোর অভিযোগের মামলার দুই আসামিকে ১০ বছর করে কারাদ- দিয়েছে আদালত।
একইসাথে দন্ডিতদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছর করে কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মঞ্জুরুল হোসেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত ফারুক হোসেন (৪৭) ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডিত ফারুক জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামের বাসিন্দা। অপর দন্ডিত আসামি উজিরপুর উপজেলার হারতা জামবাড়ি এলাকার পারুয়া মিনি (২৭) পলাতক রয়েছেন। সোমবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, রোববার শেষকার্যদিবসে আদালতের বিচারক উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেছেন।
এজাহারে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি উজিরপুরের দুই কিশোরীকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফারুক হোসেনের কাছে তুলে দিয়েছে পারুয়া। তাদের লঞ্চে করে ঢাকায় নিয়ে মিরপুর ১৪ নম্বরের একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যৌণকাজে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ৩ মার্চ এক কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।