১ আগস্ট সোমবার ছিল কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।এ সভাকে
কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ
অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা শুরু হওয়ার পরপরই বিশ্বরোড এলাকায় আসন্ন
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীদের পক্ষে
কর্মী সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে পাল্টাপাল্টি মিছিল,
শোডাউন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। একপর্যায়ে এ
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এতে কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার ও কনস্টাবল রাছেলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চাঁদপুর জেলা
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কার্তিক রায় ও ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেনকে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন ও নাজমুল,
যুবলীগ নেতা মানিক ও নাসিমকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির
হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, তোফায়েল, কাউছার, সাগরসহ
অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়।
সংঘর্ষ চলাকালীন কচুয়ার বিশ্বরোডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি
ইব্রাহীম খলিল বাদলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নিউ সৌদিয়া হোটেল ভাংচুর ও
লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে কচুয়া মডার্ন হসপিটাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস
চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিস, সিপনের সেলুন, নজরুলের ভাই ভাই প্লাস্টিক
হাউজ ও সুধিরের মুদি দোকান ভাংচুর হয়।
চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সিনিয়র এএসপি সার্কেল (কচুয়া) আবুল
কালাম চৌধুরী ও কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে অবস্থান করে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।
এ সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় এলাকা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিবাদমান গ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহড়া
ও সংঘর্ষ চলাকালীন বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের হাতে লাঠি সোটা
দেখা যায়। স্থানীয় লোকজনের মাঝে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও চাঁদপুর ১ কচুয়া আসনের সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড.সেলিম মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।মূলত কেন্দ্রিয় এই দুই নেতার কচুয়া আওয়ামীলীগের
স্থানিয় গ্রুপিং রাজনীতির কারণ নেতাকর্মিরা সংঘর্ষ হামাল ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িয়েছে এলাকা সূত্রে জানা যায়।