রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক নিয়মাবলী, শৃঙ্খলা ও শিষ্টাচারজনিত প্রাথমিক ধারণা প্রণয়ন ও দক্ষতা উন্নয়নে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘রাজশাহী সিটির আয়তন বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নাগরিক সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি বিবেচনা করে নগরীর উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে দুটি পৃথক আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে নগরীর প্রতিটি রাস্তা চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ যানজট নিরসনে নগরীতে ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণে নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে সর্বপ্রথম টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এসব কথা বলেন।
লিটন বলেন, নাগরিক সেবার প্রতিষ্ঠান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সেবার মান বৃদ্ধি করতে শুণ্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে, আশা করছি তাদের সেই যোগ্যতা ও মেধার প্রমাণ রাখবে, যথাযথভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে।
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীতে শিল্পায়ন তেমন হয়নি। শিল্পায়নের বিকল্প হিসেবে রাজশাহীতে শিক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নগরীতে আরও নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ইতোমধ্যে দুটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে। হলিক্রস বিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করেছে। নটরডেম কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও রাজশাহী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হবে। রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবার সাফল্য তুলে ধরে সিটি মেয়র বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। ইপিআই স্বাস্থ্যসেবায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরপর দশবার ১ম স্থান অর্জন করেছে। বায়ুদূষণ রোধ, স্বাস্থ্যকর পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিবেশ পরিবেশ পদক অর্জন লাভ করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এত সকল অর্জনের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে রাজশাহী ভ্রমণ করছে। সবুজ পরিচ্ছন্ন মহানগরী রাজশাহীতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, রাসিকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নুর-ই-সাঈদ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।