রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য সরিয়ে নেওয়া চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) সকালে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযমের বাড়ির আঙ্গিনায় এ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ঘর নির্মান কাজ শুরু করা হয়।
৩০ জুলাই বিদ্যালয়ের মালামাল ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। ফলে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে বিদ্যালয়টি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশন দেন।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্টিত হয়। প্রতিষ্টিত হওয়ার পর ভাঙ্গনের কারণে ১৯৯৮ সালে তিন কিলোমিটার, ২০১৬ সালে এক কিলোমিটার, ২০২২ সালের ২৯ জুলাই দেড় কিলোমিটার পূর্বদিকে স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২৩ জন। এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক (শিশু) শ্রেণি ১০ জন, প্রথম শ্রেণি ১৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেণি ২৪ জন, তৃতীয় শ্রেণি ১৮ জন, চতুর্থ শ্রেণি ২১ জন, পঞ্চম শ্রেনি ৩৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছে ৩ জন।
বিদ্যালয়টি বর্তমানে যেখানে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেই স্থান থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে চকরাজাপুর নামকস্থানে ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্টিত করা হয়েছিল। এবারসহ তিন বার স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়টির জন্য স্থান নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। কোন জমিও পাওয়া যাচ্ছেনা। নিরুপায় হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযমের বাড়ির আঙ্গিনায় বিদ্যালয়ের ঘর নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলনে, পদ্মা ভাঙতে ভাঙতে বিদ্যালয়ের ওয়ালে এসে পৌছে। যে কোনো সময়ে পদ্মার গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। জরুরি ভিক্তিতে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তারপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিদর্শন শেষে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন। বিদ্যালয়ের জন্য কোন জমিও পাওয়া যাচ্ছেনা। নিরুপায় হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযমের বাড়ির আঙ্গিনায় বিদ্যালয়ের ঘর নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে। এবারসহ তিনবার বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হলো।