ভারি যানবাহনের চাপে শেরপুরের ঝিনাইগাতী-গুরুচরণ দুধনই সড়কের ফুলহাড়ি এলাকায় কালভার্ট ভেঙে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এতে যান চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যেকোনো সময় পুরো কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। দ্রুততম সময়ে কালভার্টটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ঝিনাইগাতী থেকে গুরুচরণ দুধনই পর্যন্ত এলজিইডির ১১ কিলোমিটার সড়ক। প্রতিদিন ওই পথে শতশত মানুষ ও নানা ধরনের যান চলাচল করে থাকে। কিন্তু গত প্রায় দুই মাস পুর্বে ভারি যানবাহনের চাপে কালভার্টটির মাঝখানের কিছু অংশ ভেঙে যায়। পরে এলজিইডির পক্ষ থেকে ভাঙা অংশ কোনোরকম মেরামত করা হয়। তবে এ মেরামত কোনো কাজে আসেনি। যানবাহনের চাপে আবারও ভেঙে যায় কালভার্টের পুরোনো ভাঙা অংশ। ফলে ওই পথে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ পথে যাতায়াত ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালভার্টটি অনেকটা জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। মাঝামাঝি ও একপাশে ঢালাই ধসে গিয়ে রড বের হয়ে আছে। স্থানীয়রা দূর্ঘটনা এড়াতে কালভার্টটির মাঝে একটি বাঁশের ওপর লাল রঙের কাপড় ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল ও ট্রলি।
এ সড়কে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গুরুচরণ দুধনই এলাকা থেকে প্রতিদিন এই পথে চলাচল করি। কিন্তু কালভার্টটির যে অবস্থা, তাতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য জোসনা বেগম বলেন, কালভার্টটির জন্য এ পথে চলাচল করতে ভয় করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি বক্সকালভার্ট র্নিমাণের জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ওইস্থানে একটি বক্সকালভার্ট নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাই বক্সকালভার্ট র্র্নিমাণের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।