ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় চারশ’জনকে। মামলার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে গ্রেফতার আতঙ্কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তিরত চিকিৎসাধীন বিএনপির ১৬ নেতাকর্মী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন।
বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স পূর্নিমা মন্ডল বলেন, শর্টগানের গুলিতে আহত হয়ে ২১ জন ব্যক্তি এই ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। এদেরমধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ১৬ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্য এক রোগীর স্বজন জাফর খান বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ব্যক্তিদের তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল ত্যাগ করতে দেখেছি। এসময়ে কয়েকজনকে বলতে শুনেছি ভোলায় মামলা হয়েছে যেকোন সময় গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই যে যার মতো করে চলে যাও।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, ভোলার ঘটনায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি বিএনপির নেতাকর্মীদের বিষয়ে আমাদের কোন নির্দেশনা ছিলোনা। যে কারণে পুলিশ গার্ডের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত রোববার ভোলা জেলা বিএনপির প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুর রহিম নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নিহত, ছয়জন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।