কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আমাদের দেশে কোন ধরনের হাহাকারের মত খাদ্য সংকট নেই। দেশের মানুষ আমাদের সাথে ছিল, আছে ও থাকবে। আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। বিগতদিনে বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসন, অপশাসন ও লুটপাটের কারণে মানুষ অস্থির হয়ে পরেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে সেরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়নি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি চাচ্ছে আর্ন্তজাতিক বাজারের তেলের দাম নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য কোন কাজে লাগবে না। বিএনপি যদি মনে করে থাকেন দেশের মানুষ অশিক্ষিত তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে বলেন, লোডশোডিং এখন শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না। লোডশেডিং বর্তমানে সারাবিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে হচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তারাতো সে সময় ১ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যায়নি। দেশে বিদ্যুতের যা উৎপাদন তা আমরাই করছি।
কৃষকদের সমস্যা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় সারের দাম ছিল ৯০টাকা। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই দাম কমিয়ে কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ২৫ টাকা করেছি। বর্তমানে দেশে ১৬ টাকা দরে সার দেওয়া হচ্ছে।
তেলের দামের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে তেলের দাম কমে আসলে আমরাও কমিয়ে নিয়ে আসবো। দেশের ভোজ্যতেলের সংকট দূর করার জন্য আগামী তিন বছরের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল উৎপাদন করে দেশের ঘাটতি পূরন করা হবে।
বুধবার বেলা ১১টায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন সভা মঞ্চে বিদ্যমান শষ্যবিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাত সমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথাগুলো বলেছেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগীতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় কমিশনার আমিন-উল-আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ডিজি মোঃ বেনজির আলম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার প্রমুখ।
কর্মশালায় বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনা ও যশোর অঞ্চলের চার জেলার তিন শতাধিক কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্তরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় কৃষি বিষয়ের উপর উপস্থপনা করেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলমগীর হোসেন।