গুগল প্লে স্টোরে এখন প্রায় ৩৫ লাখের ওপর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অর্থাৎ অ্যাপ রয়েছে। এসব অ্যাপ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে নাগরিকদের দৈনন্দিন কাজে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ অ্যাপ্লিকেশনগুলো জীবনকে যত সহজ করে দিয়েছে ঠিক একইভাবে অনেক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার যুক্ত করায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে অনেকে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে আমাদের জীবন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অ্যাপ্লিকেশন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার অ্যালার্ম থেকে শুরু করে মিউজিক প্লেয়ারে পছন্দের প্লে-লিস্ট চালু করে জগিংয়ে যাওয়া, গাড়ির টিকিট কেনা, হোটেলের রুম কিংবা রেস্টুরেন্টের টেবিল বুকিং দেওয়া, গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য ডিজিটাল নেভিগেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিক এবং সহজ পথটি বেছে নেওয়া, দূর-দূরান্তের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্কগুলো অবিরত রাখাসহ অনেকভাবে জীবনকে সহজ করে দিচ্ছে এ প্রযুক্তি। চাইলেই কিছু শর্ত মেনে খুব সহজেই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে নিরাপত্তার স্বার্থে আপনজনদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখা যায়। দূর থেকেও চোখ রাখা যায় বাড়ি, গাড়ি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর ওপর। অর্থাৎ জীবনকে সহজ, আনন্দময় করার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থাপনা দিয়ে তৈরি হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশনগুলো। কিন্তু এ অ্যাপ্লিকেশনগুলো সত্যিই কী নিরাপদ? আমাদের নিয়ন্ত্রণ কমিশন কতটুকুই বা সক্ষম? নিয়ন্ত্রণে আমাদের নেই কোনো নীতিমালা। এরইমধ্যে অসংখ্য মোবাইল এপ্লিকেশনের বিরুদ্ধে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ ম্যালওয়্যার তৈরির পিছনে অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন দায়ী। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। আবার এসব ব্যবহারকারীর মধ্যে ৯৮ শতাংশ ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আমাদের দেশে গুগল কেবলমাত্র ভ্যাট নিবন্ধন করেছে। তাদের নেই কোনো ডাটা সেন্টার বা কার্যালয়। আমরা এখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখছি, তাই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কোনটা ব্যবহার করা প্রয়োজন বা কোনটার প্রয়োজন নেই তা অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়। আবার মোবাইল অ্যাপ আমাদের দেশে নিবন্ধন করা বা পরিচালনায় এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা বা কার্যকর পদক্ষেপ নেই। তাই সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ইন্টারনেটের অপব্যবহার রক্ষার্থে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার।