রংপুরের পীরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের অন্ধকারে নিজেরাই গাছ কেটে এক ব্যবসায়ীসহ ৭জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, মামলার পূর্বে ওই ব্যবসায়ীর নব-নির্মিত মুহী এলপিজি এ- ফিলিং স্টশনে হামলা চালিয়ে সীমানা প্রাচীরও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে তারা। মামলার এজাহারে যে তফসীল বর্ণিত জমির গাছ কর্তন উল্লেখ করা হয়েছে ওই জমির মালিক মামলার ১নং আসামি নিজেই। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের থিরারপাড়াা গ্রামে। ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই দিনগত রাত দেড়টায় থিরারপাড়া মৌজার জেএল নং ৩৯, খতিয়ান- ৩৩, দাগ নং ৩৫৯ এর ১৭ শতাংশ জমি হতে ইউক্যালিপ্টাস গাছ কাটার অভিযোগে থিরারপাড়া গ্রামের আজগর আলীর পুত্র ফিলিং স্টেশন ও ভাঁটা ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনসহ ৭জনকে আসামি করে গত ২৩ জুলাই পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন একই গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের পুত্র প্রভাবশালী আবদুল আজিজ। ওই মামলায় জামিনে থাকা আলমগীর হোসেনের এলপিজি গ্যাস ও পেট্রোল মজুদ রাখা ঘরের সঙ্গে কর্তনকৃত গাছের পাতা, ডাল-পালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে গত ২৬ জুলাই আলমগীর হোসেন তার নিজস্ব মহেন্দ্র ট্রাক দিয়ে ডাল-পালা ও পাতা অপসারণ করতে গেলে অতি উৎসাহী পুলিশ মহেন্দ্রটিও আটক করে থানায় নিয়ে যায়। উল্লিখিত দাগে ক্রয় সূত্রে ১০ শতাংশ জমির মালিক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, চলতি বছরের প্রথম দিকে ইউক্যালিপ্টাস গাছসহ ওই জমিটি ক্রয় করি। আমার ওই জমি আবদুল আজিজ ও তার ছোটভাই রাছেল মিয়া নিজেদের দাবি করে লোক মারফতে রাতের অন্ধকারে পরিকল্পিতভাবে গাছ কেটে আমাকেই মামলার আসামি করেছে। অথচ ওই জমির চারপাশেই আমার ক্রয় করা সম্পত্তি। মূলতঃ তাদের উদ্দেশ্যই গায়ে পড়ে ঝগড়া লাগানো। যে ১৭ শতাংশ জমির গাছ কর্তনের জন্য মামলা করা হয়েছে, ওই জমির গাছগুলো এখনো দন্ডায়মান রয়েছে। শুধু তাই নয়, আবদুল আজিজ ও রাছেল গংরা ইতঃপূর্বে একাধিকবার আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার উস্কানী ছাড়াই হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্জুর হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অনতিবিলম্বে দু'পক্ষকে নিয়ে বসবো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলজার হোসেন বলেন, মামলার আলামত গায়েব করার চেষ্টার কারণে মহেন্দ্র ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে আদালতকে অবহিত করা হয়নি। কে জমির প্রকৃত মালিক তা দু'পক্ষের কাগজ পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে। মামলার বাদী আবদুল আজিজের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।