প্রেমের টানে ভারতের দক্ষিনের প্রদেশ তামিলনাড়ুর নাগরিক প্রেমকান্ত প্রায় ৪ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলীতে এসেছেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি তালতলীতে এসেছেন। গত ২৪ জুলাই তিনি বরিশালে আসেন। তবে তিনি তার প্রেমিকার সাথে দেখা না করে দেশে ফিরবেন না বলেও জানান।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে বরিশাল থেকে সড়কপথে সে বরগুনায় এসে বিভিন্ন জায়গায় তার প্রেমিকাকে খুঁজে না পেয়ে ৫ আগস্ট দুপুরে প্রেমিকার পরিবারের সাথে কথা বলতে তালতলীতে পৌঁছেছেন বলে নিশ্চিত করেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু।
নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার প্রেমাকান্ত বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে তালতলী উপজেলার টিএন্ডটি এলাকার ও বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজে একাদ্বশ শ্রেণীর প্রথমবর্ষে পডুয়াএক শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এভাবে ফেইসবুকের মাধ্যমে টানা তিন বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। একপর্যায়ে প্রেম শুধু মেয়ের সঙ্গেই নয়, সুসম্পর্ক গড়ে উঠে দুই পরিবারের মধ্যেই। আর তাই ভিডিও কলে নয় মনস্থির করেন ভালোবাসার মানুষটিকে সরাসরি একনজর দেখবেন তিনি। এরপরই সুদুর তামিলনাড়ু থেকে প্রথমে বাংলাদেশের বরিশাল শহরে ও পরে তালতলীতে আসেন তিনি।
প্রেমিক নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার প্রেমাকান্ত জানান, বরিশালে আসার পর ওই শহরের বসে দেখাও মেলে তার প্রেমিকার সঙ্গে। আর এরপরই প্রেমকান্তের প্রেম নতুন এক দিকে মোড় নেয়।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে ফেসবুকে তালতলীর ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীর হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের মধ্যেও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। করোনার বাঁধা কাটিয়ে প্রেমকান্ত গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ এলে বরিশালের একটি রেস্টুরেন্টে দু’জনের দেখা হয়। দেখা হওয়ার একদিন পর প্রেমকান্ত জানতে পারেন তার অজান্তেই তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চয়ন হালদার নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে তার প্রেমিকার। আর এরপরই হঠাৎ প্রেমিকা ও তার পরিবার বন্ধ করে দেয় সকল প্রকার যোগাযোগ। এমনকি প্রেমিকার নতুন প্রেমিকের হাতে মারধরও খেতে হয় তাকে। পরে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতেও থাকতে হয়েছে তাকে। আর এতসব কিছুর পরেও প্রেমিক প্রেমাকান্তের বিশ্বাস, দেখা হলে হয়তো আবারও তার জীবনে ফিরে আসবেন তার ওই প্রেমিকা। তাই বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল থেকে সড়কপথে তালতলী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরগুনায় আসে। শুক্রবার দুপুরে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে তালতলীর জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর হল রুমে অবস্থান করছেন তামিলনাড়ুর ওই যুবক প্রেমাকান্ত। পরে তার প্রেমিকার সাথে কথা বলার জন্য পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেছেন। ডাক বাংলোর হল রুমে সামনে ঐ যুবকের খরবের পেয়ে সাধারান মানুষ প্রেমাকান্তকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোন বলেন, ভারত থেকে প্রেমাকান্ত নামের এক যুবক তালতলীতে আসছে বিষয়টি শুনেছি। এখনো আমাদের কাছে আসেনি। আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।