রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর উপজেলার ৩১ জন প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত বছরের ৯ নভেম্বর অভিযোগটি দায়ের করা হলেও ৯ মাসেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগকারী শিক্ষকরা শনিবার (৬ আগষ্ট) ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়মিত অফিসে আসেন না, অফিসে থাকলেও অশালীন আচারণ করেন। তার সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলতে হয় সিরিয়াল নিয়ে। পছন্দমত প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক ডেকে আলাদাভাবে কথা বলেন। তার দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাজে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে যেতে হয়। শিক্ষা কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে কোন কাজে গেলে তার আচরণে অতিষ্ঠ স্টাফরা শিক্ষকদের সাথে অসদাচারণ করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রত্যয়ন নেয়ার সময় টালবাহনা করেন। প্রত্যেকটা নিয়োগে তার সাথে অর্থ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করে দেন না।
এ বিষয়ে কালিদাসখালী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আক্কাছ আলী বলেন, এ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠনের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরের গেলে তিনি নানা অজুহাতে তারিখ নির্ধারণে টালবাহানা করেন। পরে প্রধান শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ প্রামানিক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষপে তারিখ নির্ধারণ করে নেন।
এ বিষয়ে কালিদাসখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ প্রামানিক ও সোনাদহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আর্থিক ও অফিসিয়াল অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে আমরা ৩১ জন প্রধান শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু ৯ মাসেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদ এর মুঠোফোনে একধিকবার যোগাযোগ ও ম্যাসেজ দেওয়ার পরও তিনি যুগান্তরের ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ চুক্তির ঘটনা সত্যনা। সরকারি বিধিমোতাবেক নিয়োগ পক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়। যারা অভিযোগ করেছেন তার কোন সত্যতা নেই বলে তিনি দাবি করেন ওই গণমাধ্যমকর্মীর কাছে।