রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চক করিম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে জীবিত নৈশ প্রহরীকে মৃত দেখিয়ে পুনরায় ওই পদে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টার অভিযোগে ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান,চক করিম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৫ তারিখে এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১ জানুয়ারী ১৯৯৬ তারিখে রামপুর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদ মন্ডেলের পুত্র দুলু মিয়া নৈশ প্রহরী পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর দুলু মিয়া সরকারি বেতন ভাতার সুবিধা চাইলে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বরাবরই তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এদিকে গত ১২ জুন ২২ তারিখে রংপুরের স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় নৈশ প্রহরী শূন্যপদে নিয়োাগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে এলাকাবাসী ও ওই স্কুলের অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩/৪টি শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও স্কুলে সরকারি বরাদ্দের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করে সমুদয় বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নৈশ প্রহরী দুলু মিয়া জানান, আমি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়নি। প্রধান শিক্ষক আমার কাছে বরাবরই মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিলেন,তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় প্রধান শিক্ষক আমাকে মৃত দেখিয়ে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। এ ব্যাপারে চক করিম আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ রেজুলেশনের মাধ্যমে স্থগিত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কোন প্রকার কাজ করা হয়নি কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিশ্চুপ থাকেন।