প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ একটি প্রতিনিধি দল। তারা ভূক্তভোগী ছাত্রীসহ অন্যান্যের সাথে কথা বলে অভিযোগের কোন সত্যতা পাননি। ঘটনাটি জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার সংলগ্ন জিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
রোববার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকমল হোসেন বলেন, পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চল প্রধান আনোয়ার হোসেন ও জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর।
তিনি আরও বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় দায়ের করা লিখিত আবেদনের স্বাক্ষী, ভূক্তভোগীসহ অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে কথা বলেছেন। তানজিলা নামের এক ছাত্রী বলেন, অষ্টম শ্রেণির যে ছাত্রী অভিযোগকারী সে আর আমি একসাথেই বিরতীর (লেইজার) পর ছুটি নেয়ার জন্য প্রধানশিক্ষকের অফিস রুমে গিয়েছিলাম। আবার একসাথেই বের হয়েছি। সেখানে শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, এলাকার কয়েকজন বড় ভাই আমাদের ডেকে নিয়ে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছেন। পরে আমরা জানতে পারি বিক্ষোভের কারন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে বিরোধের জেরধরে প্রধানশিক্ষক ইদ্রিসুর রহমানের ফাঁসাতে স্থানীয় একটি মহল তৎপর ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট বিদ্যালয়ের (নিজ পক্ষের) এক ছাত্রীকে দিয়ে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে থানায় লিখিত আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে ওই মহলটি গত ৪ আগস্ট প্রধানশিক্ষকের অপসারণের দাবীতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আকমল হোসেনে বলেন, প্রধানশিক্ষক ইদ্রিসুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশুতোষ ব্রহ্ম বলেন, স্থানীয় একটি পক্ষ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যে অপপ্রচার করেছে।
রোববার দুপুরে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সত্য রঞ্জন খাসকেল বলেন, প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনার কোনো প্রমান মেলেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।