প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় নবম শ্রেনির ছাত্রীকে অপহরণ করে নিল প্রেমিক। তাকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যাাক্ত করত রহিম মিয়া নামে এক বখাটে। ওই ছাত্রী বোরহান উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। রোববার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে একটি কালো রংয়ের হাইয়েস গাড়ীতে তুলে নেয় মো. রহিম মিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের চাচাীতারা এলাকায়। এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে অপহৃত ছাত্রীর মা রহিমা বেগম।
বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার জানান,আমি আর আমেনা প্রতিদিনের মতো সকাল সারে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দ্যেশে রওনা দেই। আমরা গল্প করতে করতে রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম,এমন সময় পিছন দিক থেকে একটি হাইয়েস মাক্রোবাস এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমেনাকে তুলে নেয়। আমি মাইক্রোতে থাকা আবদুর রহিম নামের একজনকে চিনতে পারি।আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে চলে যায়। এ সময় আমি চিৎকার করতে থাকি। এলাকাটি জনশূন্য থাকায় লোকজন আসার আগেই আমেনাকে নিয়ে মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়। এরপর আমি বিষয়টি বাড়িতে এসে খুলে বলি।
আমেনার মা রহিমা বেগম জানান, বোরহান উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে তার মেয়ে লেখাপড়া করে। আমেনা আক্তার প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৯টার সময় স্কুলে যাওয়ার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হয়। রোববার সকালে তার বান্ধবী বৃষ্টি আক্তারকে সাথে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। এ সময় চাচিতারা থেকে দিঘলিয়া এলাকায় পৌছালে পিছন দিক থেকে একটি হাইয়েস মাক্রোবাস সামনে এসে বান্ধবী বৃষ্টি আক্তারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আমেনা আক্তারকে তোলে নেয় রহিম মিয়াসহ কয়েকজন যুবক। তিনি আরো বলন, দীর্ঘদিন ধরে ওই বখাটে আমার মেয়েকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যাক্ত কবত ও কুপ্রস্তাব দিত। তার কু-প্রস্তাবে মেয়ে রাজী না হওয়ায় বখাটে রহিম এ ঘটনা ঘটায় বলে জানান।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। অপহরণকারীকে ধরতে মাঠে পুলিশ কাজ করছেন বলে জানান।