জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম,দুর্নীতি ও ক্লাস ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কুশলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আকন্দ বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কুশলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আকন্দের অভিযোগে জানা যায়, দাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার সাথে জড়িত। তিনি একাধিক মামলার আসামীও ছিলেন। ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় দন্ডবিধি ধারায় মামলা হয়। সেই মামলায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শেরপুর আদালতে হাজিরা দেয়। ২০১৫ সালে একটি হত্যা মামলার স্বাক্ষী হয় এবং সেই মামলাটি গোলাম মোস্তফা নিজে পরিচালনা করে। এছাড়াও অপরের জমি আত্মসাত,মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি,কুপরামর্শ দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়াই হচ্ছে গোলাম মোস্তফার কাজ। সরকারি বিধি মোতাবেক একাধিক মামলার কোন আসামি সরকারি চাকুরিতে যোগদানের নিয়ম না থাকলেও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তথ্য গোপন করে একাধিক মামলার আসামি হয়েও গোলাম মোস্তফা ২০১৭ সালে চাকুরীতে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা চলমান আছে। মাসের বেশিরভাগ সময়ই তাকে জামালপুর ও শেরপুর আদালতে দেখা যায়। মামলায় হাজিরা থাকার দিনগুলিতেও তাকে স্কুলে হাজিরা খাতায় উপস্থিতি দেখা যায়। একই সময়ে তিনি স্কুলে এবং আদালতে কিভাবে উপস্থিত থাকলেন তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন গোলাম মোস্তফা তাহলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়ান কখন। এই নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে তিনি কি শিক্ষক নাকি মামলাবাজ ! মামলায় হাজিরা
এ ব্যাপারে জানতে গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা বেগম বলেন,এ বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।