রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাঙ্গুরপাড়া মৌজায় কৃষকের সেচ নিশ্চিত করতে বিএডিসি বিগত ২০১৯ সালে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। শুরু থেকেই গ্রামের চয়েন উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে আমিনুল ইসলাম গভীর নলকূপটির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একই গ্রামের ওছমান আলীর ছেলে আবদুর রহিম মিয়া একই মৌজায় ২০২২ সালে অগভীর নলকূপ স্থাপন করে। কিন্তু বিধি লংঘন করে বিএডিসির গভীর নলকূপের নিকটবর্তী আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইন স্থাপন করে। ফলে গভীর নলকূপের গ্রাহক কমতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে গভীর নলকূপের ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারীতে লিখিত অভিযোগ করে উপজেলা সেচ কমিটি বরাবর। ওই অভিযোগ পেয়েও সেচ কমিটির কোনো প্রতিকার না পেয়ে অই বছরই সেচ কমিটি বরাবর পৃথক ৩টি লিখিত অভিযোগ করেন। তার পরেও বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি। ম্যানেজার আমিনুল বলেন গভীর নলকূপের আওতায় শুরু থেকেই প্রায় দেড়’শ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। অগভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে সেচের জমি দিনদিন কমতে শুরু করছে। প্রতিবছর বিএডিসি অফিসে আগের মতই ভাড়া দিতে হচ্ছে তাকে। এতে করে ম্যানেজার অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানও মুখ থুবড়ে পড়ছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ( বিএডিসি) উপ সহকারী প্রকৌশলী রুবেল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়ে তারা মাঠ পরিদর্শন করেন। বিধি লংঘন করে অগভীর নলকূপের আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইন গভীর নলকূপের সীমানার মধ্যে প্রবেশ করে। নির্মাণকৃত ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা অপসারণ করার জন্য আবদুর রহিম মিয়া কে গত ফেব্রুয়ারীতে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠি পেয়েও আবদুল রহিম মিয়ার সেচ কমিটির বা বিএডিসির অফিসে যোগাযোগ করেননি। সেচ কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক অগভীর নলকূপের সংযোগ বিছিন্ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চিঠি প্রেরণ করা হলেও বিদ্যুৎ অফিস এখন পর্যন্ত সংযোগ বিছিন্ন করার বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় বলেন সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কে সংযোগ বিচ্ছিন্নের চিঠি পাঠানো হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান বলেন সেচ কমিটি বিদ্যুৎ অফিস চিঠি প্রেরণ করেছে। অবৈধ আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইন অপসারণের কাজ সেচ কমিটি করবে। তাছাড়া সংযোগ বিছিন্ন করতে হলে সেচ কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবেন। তখন বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে।