রংপুরের পীরগাছায় পুকুরে মাছ মারতে বাঁধা দেওয়ায় ৩ মহিলাকে বেদম মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪ মাসের অন্ত:সত্ত্বা এক মহিলা অবস্থা গুরুতর। পরে এলাকাবাসী আহত তিন মহিলাকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত রোববার দুপুরে উপজেলা কৈকুড়ী ইউনিয়নের নজরমামুদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ৭ জনকে আসামি করে এ বিষয়ে পীরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের নজরমামুদ গ্রামে মতিয়ার রহমানের ছেলে সুলতান মিয়া তার ভাই-বোন ও ভাতিজা-ভাতিজিদের অংশে একটি পুকুর যৌথ ভাবে মাছ চাষ করে আসছিলো। জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে ওই গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান মিয়া গত রোববার ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে সুলতান মিয়ার পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরতে থাকে। এ সময় বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় সুলতান মিয়ার ভাবি মুক্তিয়ারা বেগম (৪০) দুই ভাতিজা বউ মমতাজ বেগম (২৫) ও কুলছুম বেগম (২৩) বাঁধা দিতে গেলে সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে তিন মহিলার উপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে পড়নের কাপড় ছিড়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং গলা চেঁপে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ৪ মাসের অন্ত:সত্ত্বা মমতাজ বেগমের পেটের অনাগত সন্তান মেরে ফেলার জন্য লাঠি দিয়ে তার পেটে আঘাত করা হয়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পুকুরের প্রায় ১৫ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন আহত তিন মহিলাকে উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদের মধ্যে মমতাজ বেগমমের অবস্থা গুরুতর। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
অভিযোগকারী সুলতান মিয়া বলেন, বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে তারা এ হামলা চালিয়েছে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছও নিয়ে গেছে। আমার ভাতিজা বউ মমতাজ বেগমের অবস্থা আশংকাজনক। তার পেটের সন্তান নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা বসে মিমাংসা করে নেব।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার কৈকুড়ী ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক বলেন, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।