যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী নাইমা খাতুনকে (৮) ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ধলিয়ার বিলে মোসলেম উদ্দিনের পরিত্যাক্ত ডোবার কচুরিপানার ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পিতা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে নাইমা খাতুন রোববার বিকালে বাড়ির পাশে খেলা করতে বের হওয়ার পর সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফিরলে তাকে খুঁজতে শুরু করি। রাত সাড়ে দশটার সময় শফি কামালের মাছের ঘেরের কঁচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই রাতেই মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে।
উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিহত নাইমা খাতুনের বড় ভাই নাঈম হোসেন জানান, তার বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি তার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, আর কোন ভাইয়ের বুক এভাবে যেন খালি না হয়।
অভয়নগর থানা পুলিশ জানায়, স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে তার লাশ যশোর মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আমজাদ হোসেন নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাছাড়া ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে যশোর পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কাজ শুরু করেছে। অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান জানান, শিশু মেয়েটির লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে, শিশুটির মৃত্যু কিভাবে হয়েছে? এবং তদন্তে বেরিয়ে আসবে এ হত্যার আসল রহস্য। শিশুটি নিহতের ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নেমেছে। আশা করছি, অতি শ্রীঘ্রই আসল ঘটনা জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।’