কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আলোচিত রক্সি পেইন্ট কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হত্যার প্রধান আসামি সহ ২ জনকে আটক করেছে র্যাব-১২'র চৌকষ একটি দল।
র্যাব'র ব্রিফিং এ জানানো হয়, গত ৭ আগস্ট বিকালে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে লোকমান হত্যা মামলার এজহার নমীয় প্রধান আসামি সোহানুর রহমান সোহান(২২), এবং তার পিতা দর্পন আলী (৬১) কে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার পর থেকেই তারা গাঁ ঢাকা দিয়েছিল। তারা ভেড়ামারার দক্ষিণ রেলগেট এলাকার বাসিন্দা। গ্রেফতারের পরই আসামীদের নিয়ে হত্যাকান্ডের স্থলে আসে রেব এবং পুলিশ। সোহানের দেখানো মতে হত্যাকান্ডের স্থান ভেড়ামার দর্পণ হার্ডওয়ার এর গোডাউন হতে নিহতের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার আসামি সোহানুর রহমান সোহান হত্যাকা-ে সক্রিয় অংশগ্রহণ স্বীকার করেছে।নিহত লোকমান হোসেন দর্পণ হার্ডওয়ার এর নিকট প্রদত্ত বকেয়া টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে গেলে দোকানের মালিক দর্পণ আলীর ছেলে মোঃ আবদুল আউয়াল রেভেন তার বাবা কর্তৃক প্রদেয় বকেয়া টাকা কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে লোকমান হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মতে রেভেন এর ছোট ভাই সোহান ভিকটিমকে তাদের ভাড়াকৃত গোডাউনে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। এ সময় প্রান্ত ইসলাম সাব্বির, মোহাম্মদ শুভ উভয়ের সহযোগিতায় তারা লোকমান কে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ড করে। হত্যাকা-ের পরের দিন সকালে সোহান তার বাবা দর্পন কে বিষয়টি জানায়। দর্পন মৃতদেহটি গুম করে ফেলার নির্দেশ দেয়। একই দিন গভীর রাতে রেভেনের বন্ধু জীবন ও দর্পণ হার্ডওয়ারের কর্মচারী তুহিনের পাহারায় ভিকটিম এর মৃতদেহ ভেড়ামরা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের গলিতে ফেলে রাখে।
উল্লেখ, গত ৩ অগাস্ট সকালে ভেড়ামারা হাইস্কুল গলির তেল মিলের পাশে ড্রেন ও আবর্জনাযুক্ত স্থানে বস্তাবন্দি অবস্থায় রক্সি পেইন্টের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার সহধর্মিণী জিন্নাত আরা টুম্পা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় ৭ জন কে আসামি এবং আরো ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৬ তারিখ ৩-৮-২২।