রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা সেতুর ওপর থেকে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশা চালককে নদীতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়েছেএকদল কিশোর। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাতে কাউনিয়ায় তিস্তা সড়ক সেতুতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় টহল পুলিশ ওই অটোরিকশা চালককে নদী থেকে উদ্ধার করেছে।তবে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি এখনও উদ্ধার এবং দুষ্কৃতকারী কিশোরগ্যাংয়ের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ছিনতাইয়ের শিকার অটোচালক আসাদুল ইসলামকে রাত সোয়া ১২টার দিকে এই ঘটনার পর কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থকেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট সদরের মেকড়টারি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
অটোচালক আসাদুল ইসলাম জানান, রংপুরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা মোড় থেকে রাজারহাটের তিস্তা যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় চড়ে বসেন ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী আট কিশোর। তাদেরকে ৪০০ টাকা ভাড়া ঠিক করে রাজারহাট তিস্তা এলাকায় পৌঁছে দেয়ার কথাবার্তা হয়।
তিনি আরও বলেন, অটোরিকশায় ওঠার পর কোথাও গাড়ি থামানো হয়নি। কিন্তু তিস্তা সেতুর ঠিক মাঝামাঝি পৌঁছলে গাড়ি থামাতে বলে কিশোর দলের সদস্যরা। তাদের কথা মতো গাড়ি থামাতেই সবাই মিলে তাকে জোরপূর্বক পাঁজাকোলা করে সেতুর রেলিংয়ের ওপর দিয়ে মাঝ নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে দূর থেকে এঘটনাটি দেখতে পেয়ে কয়েকজন ছুটে আসার আগেই কিশোরচক্রটি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চালককে ব্রিজ থেকে ফেলে দেয়ার পর কালবিলম্ব না করে দুষ্কৃতকারী কিশোররা অটোরিকশাটি ঘুরিয়ে রংপুরের দিকে চলে যায়।এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা বুঝতে পারেন এবং ওই সময় টোলপ্লাজায় অবস্থানরত টহল পুলিশের সদস্যদের কাছে বিষয়টি অবগত করেন।
ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে টোলপ্লাজায় অবস্থানরত লালমনিরহাট সদর থানার এসআই রওশানুল খাবিরসহ টহল পুলিশ সদস্যরা দ্রুত একটি নৌকায় করে সেতুর নিচে গিয়ে নদীতে নামেন। নৌকার মাঝি আজিজুল ও পুলিশ সদস্য শ্যামল প্রবল স্রোতের মধ্যেই মাঝ নদী থেকে অটোরিকশা চালককে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে এসআই রওশানুল খাবির জানান, সাঁতার না জানলেও অটোচালক আসাদুল কোনো রকমে ব্রিজের পিলার জাপটে ধরে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত তাকে মাঝ নদী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তবে নদীতে এখন ভরাবর্ষার গভীর পানি থাকলেও ভাগ্যক্রমে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।