বিয়ের একযুগ পর এক সাথে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন রিতা রানী দাস নামে এক গৃহবধু। কিন্তু জন্মের পর পরই চার শিশুই মারা যাওয়ায় মাতৃত্বের সাধ পূরণ হলো না তার। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার মৌখাড়া ঋষিপাড়া মহল্লায়। মঙ্গলবার রাতে ভুমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই ফুটফুটে ওই চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল ও শিশুটির স্বজন সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে রিতা রানী দাস বাড়িতেই একটি ছেলের জন্ম দেন। এরপর ওই শিশুসহ তাকে বনপাড়া আমিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি আরো তিন সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পরপরই শিশুগুলোর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক চার শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় শ্মশানে তাদের দাহ সম্পন্ন করা হয়।
নবজাতকের বাবা নিখিল চন্দ্র দাস জানান, বিয়ের ১২ বছরে আমাদের সংসারে কোন সন্তান আসেনি। এবার স্ত্রী গর্ভধারণ করার পর খুবই আশাবাদী হয়েছিলাম। একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় খুবই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু জন্মের পরপরই তারা মারা যাওয়ায় আমাদের বাবা মা হওয়ার সাধ মিটলো না।
বনপাড়া আমিনা হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডাঃ আনসারুল হক জানান, নবজাতকগুলো অপরিণত অবস্থায় মাত্র ২৫ সপ্তাহে ভুমিষ্ট হয়েছিল। এ কারণে জন্মের পরপরই তাদের মৃত্যু হয়েছে।