পাবনার সুজানগরে দ্বিতীয় দফা পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলার নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়ীয়া ও মানিকহাট ইউনিয়নের নদীপাড়ের বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মূল্যবান গাছপালা।
নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান জানান, গত সপ্তাহে পদ্মায় ব্যাপকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মার বড় বড় ঢেউ পদ্মাপাড়ের বাড়ি-ঘরে আছড়ে পড়ছে। এতে পদ্মাপাড়ের হাসামপুর, বরখাপুর, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পুলিশ ক্যাম্প, মহনপুর, ইন্দ্রজিতপুর এবং গোয়ারিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অর্ধশত বাড়ি-ঘর, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গাছপালা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বলেন পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে ইউনিয়নের গুপিনপুর ঈদের মাঠ, সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারুহাটি গ্রাম এবং সাতবাড়ীয়া মাছের আড়ৎসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বাড়ি-ঘর এবং গাছপালা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। একই কথা বললেন মানিককহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম। তিনি বলেন ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রাম, রাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিসি সড়ক, রাইপুর বাজার, জামে মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ওই সকল বাড়িÑঘর, সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সুজানগরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে। উপজেলার মাছপাড়া গ্রামের পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা ওসমান আলী বলেন আমার বাড়ি একদম পদ্মা নদীরপাড়ে। যেভাবে পদ্মার ঢেউ ধাক্কা মারছে তাতে যেকোন সময় আমার বাড়ি-ঘরসহ আশপাশের বাড়ি-ঘর ও মূল্যবান গাছপালা নদীতে চলে যেতে পারে। পাবনা-২আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন ইতঃপূর্বে ভাঙ্গনরোধে বেশ কিছু এলাকায় সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ এবং জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। খোঁজ-খবর নিয়ে ভাঙ্গন কবলিত অন্যান্য এলাকায় সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ এবং জিও ব্যাগ ফেলানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।