ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন। এ অভিযানে একটি পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র সহ ডাকাতিকালে লুটে নেওয়া কিছু মালামালও আটক করেছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পুলিশ। ফরিদপুর অতিরক্তি পুলিশ সুপর জামাল পাশা, হেলাল উদ্দিন ভুইয়া, ফরিদপুর সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার ও চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল উপস্থিত থেকে প্রেস রিলিজ প্রদান করেন।
গ্রেফতারকৃত আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্য হলো- চরভদ্রাসন উপজেলার বিএস ডাঙ্গী গ্রামের তোতা বেপারীর ছেলে রুবেল বেপারী (৩৪), একই গ্রামের মোতালেব পত্তনদারের ছেলে নাঈম পত্তনদার (২২), মৃত পরেশ সরকারের মেয়ে প্রার্থনা সরকার (২৭), চরসর্বান্দিয়া গ্রামের গোলাম মওলা মুন্সির ছেলে ইমরান মুন্সি (২৬), সালথা থানার শুকুর মাহমুদ মোল্যার ছেলে জিহাদ মোল্যা (২৪), মধুখালি উপজেলার হোসেন গাজীর ছেলে মামুন শেখ (২৭), ভাটি কানাইপুর গ্রামের অনন্ত কর্মকার (২২) বোয়ালমারি উপজেলার ইউসুফ মোল্যার ছেলে বিল্লাল মোল্যা (২৪) রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার দুলু শেখের ছেলে দেলোয়ার শেখ (৩৫)।
জানা যায়, গত ২ আগস্ট দিবাগত রাত আড়াইটায় চরভদ্রসান উপজেলা সদরে এমকে ডাঙ্গী গ্রামের এক সৌদী প্রবাসী ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ঢুকে একদল ডাকাত ঢুকে গৃহিনীকে হাত পা বেঁেধ নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহিনী সাবিনা ইয়াছমিন বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং-০২, তাং-৩/৮/২০২২খ্রি.। মামলা রুজুর পর ফরিদপুর সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে এবং থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডলের পরিচালনায় পুলিশ একটি সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ৯ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতদের সঙ্গে থাকা একটি দেশীয় পিস্তল, একটি ছ্রান দ্যা, একটি চাইনিজ কুড়াল দুইটি সেলাই মেশিন রেঞ্জ, ১৩ আনা গলিত স্বর্ন ও তিন আনা স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ডাকাত রুবেলের নামে খুন ডাকাতি ও চুরি সহ ৫টি মামলা রয়েছে, ডাকাত রিয়াজুলের নামে খুন ডাকাত ও অস্ত্র সহ ৫টি মামলা, ডাকাত ইমনের নামে খুন ডাকাতি, ধর্ষণ ও চুরি সহ ৫টি মামলা রয়েছে, ডাকাত মামুনের নামে খুন ডাকাতি ও চুরি সহ আরও ৩টি মামলা রয়েছে রলে জানা গেছে।