বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গেল ২১ মে। কিন্তু নির্বাচনটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর সংশোধিত নির্বাচনী তফসিল থেকে জানা যায় ভোটার তালিকা সংশোধন করায় প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের। সেসময় সমিতির নির্বাচনের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হয় ২০ আগস্ট। ভোটের আর অল্প কয়েকদিন থাকতে এবার সেলিম নিজেই সরে দাঁড়ালেন নির্বাচন থেকে। গত বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ছিল তফসিলে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিনই সেলিম খান নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্যাডে নির্বাচনী বোর্ড বরাবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের একটি লিখিত আবেদন করেন। সেখানে লেখা আছে, ‘আমি মো. সেলিম খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির একজন সাধারণ সদস্য। সমিতির আসন্ন ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে একজন প্রার্থী হই। ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমার প্রার্থিতা আমি প্রত্যাহার করলাম। আমার প্রার্থিতা বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ অন্যদিকে প্রথম দফায় মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সেলিম খানের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করতে চাওয়া ডিপজল আর ওমুখো হননি। দ্বিতীয় দফায় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি আর পুনরায় মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। ফলস্বরূপ ভোটের মাঠে তিনিও থাকছেন না। এ প্রসঙ্গে ডিপজল নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার শরীর ভালো নেই। অনেক দিন থেকেই অসুস্থ আমি। কিছুদিন পরপরই দেশের বাইরে যেতে হয়। নির্বাচন করতে হলে তো সময় দিতে হবে। সেটি এখন আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণেই ভোট করছি না।’ ডিপজল এ সময় জানান নির্বাচনের চেয়ে তিনি বেশি ভাবছেন সিনেমা নিয়ে। একসঙ্গে পাঁচটি সিনেমা নিয়ে আসছেন তিনি। এরইমধ্যে একটি জমা পড়েছে সেন্সর বোর্ডে। এদিকে সেলিম খান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও মাঠে থাকছেন তার প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা। এমনটা জানা গেছে এই প্যানেলের আলিমুল্লাহ খোকনের কথায়। তিনি বলেন, ‘সেলিম খান না থাকলেও আমাদের প্যানেলের ১৯ জন আছি। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’ এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৪৪ জন। ভোটার সংখ্যা সাধারণ ও সহযোগী মিলিয়ে মোট ১৭৬ জন।