নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নাটোর জেলার প্রথম মন্ত্রী, নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল এঁর গৌরীপুরস্থ
বাসভবন চত্বরে লালপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা: ইয়াসির আরসাদ রাজনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হারুনার রশিদ পাপ্পুর সঞ্চালনায় স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। প্রধান আলোচক ছিলেন প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিনী ও নাটোর জেলা বিএনপি'র সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুন নাহার শিরিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সদস্য শহিদুল ইসলাম, বাগাতীপাড়া উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, গোপালপুর পৌর বিএনপি'র আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোলাম, বাগাতীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ, নাটোর জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা বিশিষ্ট আইনজীবী শারমিন সুলতানা পুতুল প্রমূখ।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নেতৃবৃন্দ তাঁর কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ ও রুহের শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য- ফজলুর রহমান পটল নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে ১৯৪৯ সালে ২৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মরহুম আরশাদ আলী ও মাতা ফজিলাতুন নেছা। পাঁচ ভাই ও এক বোনের পরিবারে তিনিই ছিলেন সবার বড়।
তিনি নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে ৪বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নাটোর জেলার প্রথম মন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
মরহুম ফজলুর রহমান পটল ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বিএনপির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি নাটোর -১ আসনে বিএনপি'র প্রার্থী হিসেবে পরপর ৪বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের শাসনামলে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি'র এই নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এ সময় দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য ভারত যান। সেখানে কলকাতার রবীন্দ্র কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৬ বছর বয়সে ১১ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।