চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নাবালিকা শালীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন হোসেন (৩২) নামের দুলাভাইকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়ার নির্দেশে এসআই ফিরোজ আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাষ- দুলাভাই সুমন হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার নাবালিকার মা বাদী হয়ে থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
জানা যায়, ৮ আগস্ট সুমন হোসেন তার স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে শ^শুর বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ বহরি গ্রামে বেড়াতে আসে। পরদিন ৯ আগস্ট সুমন হোসেনের চলাফেরা অসংলগ্ন দেখে তার স্ত্রী পাশের বাড়িতে বেড়াতে যাবে বলে নিজ বসতঘরের কাড়ে (ঘরের সিলিং) আত্মগোপন করে। ওই সময় শাশুড়ি বাড়িতে ছিল না। সুমন খালি বাড়ি পেয়ে নাবালিকা শালীকে ধর্ষণ করে। এদিকে তার স্ত্রী কাড়ে আত্মগোপন অবস্থায় বিষয়টি ভিডিও করে। ঘটনাটি ঘরের লোকজনসহ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে সুমন বিষয়টি অস্বীকার করলে তার স্ত্রী ভিডিওটি দেখালে সে হতবম্ভ হয়ে পড়ে। পরে তার শাশুড়ি মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও উদ্ধারসহ আসামি সুমনকে আটক করে। আটক সুমন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সুমনের শাশুড়ি জানান, সে আমার শিশু কন্যা সন্তানের জীবন ধ্বংস করেছে। আমার বড় মেয়েকে ছয় বছর পূর্বে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে অন্য ঘর থেকে বাগিয়ে এনে বিয়ে করেছে। পেশায় একজন ড্রাইভার। ওই ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। সুমনের স্ত্রী জানান, ঘটনা সত্য। আমি ভিডিওটি ধারণ করেছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মতলব দঃ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, আসামি সুমনকে আটক করা হয়েছে। পরে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক সুমনের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর গ্রামে। শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুর মা ও বোনের বক্তব্য নেয়া হয়েছে।