রংপুরের পীরগাছায় মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ আটক করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক ইউপি সদস্যের উপর হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ওই মাকক ব্যবসায়ীর পিতা ও ভাইরা মিলে আবদুল মজিদ নামে ওই ইউপি সদস্যকে বেদম মারপিট করে। আহত আবদুল মজিদ উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তাকে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে উপজেলা মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ন গ্রাম থেকে শুকনা গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী একই গ্রামের রফিজুল হক বুটা মেম্বারের ছেলে আক্তারুল ইসলাম (৩০) কে পীরগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে। এ সংবাদ জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্তারুল ইসলামের পিতা ও তার কয়েক ভাই মিলে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বর্তমান ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মজিদকে পথরোধ করে বেদম মারপিট করে। পরে ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান সুজন আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে একদল মেম্বার আহত মেম্বারকে দেখতে যান এবং থানায় গিয়ে ওসির সাথে কথা বলেন। পরে ইটাকুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশারও হাসপাতালে ভর্তি মেম্বারকে দেখতে যান।
উপজেলা মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, মাদকের ঘটনায় একজন মেম্বারকে মারপিট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যাবে। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা আন্দোলনে যাব।
সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান কাজল বলেন, একজন মেম্বারকে মাদক ব্যবসায়ীরা মারপিট করবে। এটা হতে পারে না। আমি দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি করছি।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, আটক আক্তারুলের কাছে শুকনা গাঁজা পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা হবে। আর মেম্বারকে মারপিটের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।