আশুগঞ্জে হাতের মেদেীর রং শুকানোর আগেই য়ৌতুকের পাচলক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করায় নববধুর উপর স্বামী,শ্বাশুড়ীর বিরোদ্ধে নববধুর উপর নির্যাতনের অভিযোগ। নতুন করে পাচলক্ষ টাকা যৌতুকচায় স্বামী আল আমিন। এই যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাবা,ভাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে আল আমিনের বিরোদ্ধে।গত ২৬ মার্চ তারুয়া গ্রামের আল আমিন,পিতা:-মতি মিয়ার ছেলের সাথে ১০লক্ষ টাকা দেন মোহড়ে বিবাহ সম্পন্ন হয় আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে দীনা বেগমের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।।বিয়ের সময় পাচলক্ষ টাকা,স্বর্ণ দিয়েছি সাড়ে চার ভরি। বিয়ের একমাস পর আল আমিন আবার ৫লক্ষ টাকা যৌতুক চায় বিদেশ যাবার কথা বলে। এই যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় নববধুকে নির্যাতন করে রান্না ঘরে আটকে রাখে।এঘটনায় চরচারতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে নববধ গত মাসের ২২ তারিখে আদালতে মামলা করেছেন।উক্ত মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে।আসামীরা হল:-স্বামী আল আমিন,শ্বাশুড়ী রাজিয়া বেগম,ছেলের মামা ওমর মিয়া এবং দুলাল।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা চরচারতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আল আমিনের মা রাজিয়া বেগম সব কিছুর জন্য দায়ী। আল আমিনের মা তার ছেলেকে দিয়ে আমার মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন করে আমার মেয়েকে গুরতর অসুস্থ করে ফেলে এবং একরাত আমার মেয়েকে রান্নাঘরে আটকে রাখে।এসেময় আমার মেয়ে ভয়ে সারাত ঘুমাতে পারেনি।ওই রাতে আমারর মেয়ে সারাত ঘুমাতে পারেনি।।এঘটনার প্রতিবাদ করলে এবং আমাকে এবং আমার ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে আল আমিন।এদিকে গত ২২ জুলাই ব্রহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা হলেও পুলিশ আল আমিনকে গ্রেফতার না করায় আল আমিন আরো বেপরোয় হয়ে উঠছে।প্রতিদিন আল আমিন নববধুর বাবার মোবাইলে ফোনদিয়ে হুমকি দিচ্ছে মামলা তলে নেওয়ার জন্য।নববধুর বাবা চরচারতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামা জানান,মামলা তুলে না নিলে পথেঘাটে আমার মেয়েকে পেলে তুলে নিয়ে চরম শিক্ষা দিকেন বলে প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছে আল আমিন।এই অবস্থায় আমি আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। প্রশাসনের কাছে আমি আমি আমার জানমালের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চায়। এ ব্যাপাাের তারুয়া ইউিিনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.বাদল সাদির বলেন,আল আমিন বউকে নির্যাতনে বিষয়ে কয়েকটি সালিশ করেিেছ আমার আশুগঞ্জে বাসায়।্আল আমিন একজন সন্ত্রাসী টাইপের লোক। সে কখন কি বলে তার কথার কোন দিক পাই না। সে নববধুর বাবা মো.শফিকুল ইসলামকে হুমকি দেওয়ার ঘটনাটি সত্য। আমরা তার সঠিক বিচার দাবী করি।এদিকে আল আমিন তড়িঘড়ি করে বিদেশ যেতে মরিয়া উঠেছে বলে মেয়ের বাবা চরচারতলা গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানায়। সে যেন বিদেশ যেতে না পারে এজন্য আল আমিনকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানায়।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান বলেন,আল আমিনের বিরোদ্ধে একটি কোর্টের আদেশ পেয়েছি। আদেশ অনুযায়ী আলা আমিনকে আটকে চেষ্টা অব্যাহত আছে।আশা করছি দ্রুত আল আমিনকে আটক করতে পারব।