রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুমে যে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছেন করিম বেনজেমা, তাতে এবারের ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার তাকেই মনে করেন কিলিয়ান এমবাপে। ব্যতিক্রম কিছু হলে এর বিজয়ী নির্বাচনে তার আর বিশ্বাস থাকবে না বলেও মন্তব্য করেছেন পিএসজি তারকা। ২০২২ সালের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য শুক্রবার ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিন। যে তালিকায় রয়েছেন এমবাপে নিজেও। তবে তার চোখে পুরস্কারটির একমাত্র দাবিদার জাতীয় দল সতীর্থ বেনজেমা। গত মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রিয়ালের রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান ছিল বেনজেমার। মাদ্রিদের ক্লাবটিতে নিজের পঞ্চম ইউরোপ সেরা ট্রফি জিততে তিনি গোল করেন আসরের সর্বোচ্চ ১৫টি। এর মধ্যে দুটি হ্যাটট্রিকসহ ১০টি গোলই নকআউট পর্বে। ফরাসি স্ট্রাইকার নির্বাচিত হন ২০২১-২২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড়। রিয়ালের লা লিগা জয়েও বড় অবদান রেখে তিনি করেন আসরের সর্বোচ্চ ২৭ গোল। এই সময়ে জাতীয় দলেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন বেনজেমা। গত বছরের অক্টোবরে উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। চার দলের সেমি-ফাইনালসের শেষ চার ও শিরোপা লড়াইয়ে গোল করেছিলেন বেনজেমা। সবকিছু মিলিয়ে বেনজেমার হাতেই ব্যালন ডি’অর দেখছেন এমবাপে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন তাই। “আমার সেরা তিন? বেনজেমা, আমি ও সাদিও মানে। বেনজেমা তার ৩৪ বছর বয়সে জীবনের সেরা মৌসুম কাটিয়েছে, আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে ফল নির্ধারকের ভূমিকা রেখেছে।” “যদি সে এবার (ব্যালন ডি’অর) না জেতে, আমি চিরদিনের জন্য ব্যালন ডি’অরে আস্থা হারিয়ে ফেলব। রিয়াল মাদ্রিদ হলো ব্যালন ডি’অর মেশিন, এটা স্বীকার করতেই হবে।” রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে শেষ ষোলোয় এমবাপের পিএসজিকেই হারিয়েছিল। এমবাপের নৈপুণ্যে প্রথম লেগে জয়ের পর ফিরতি দেখায়ও তার গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। কিন্তু বেনজেমার ১৭ মিনিটের হ্যাটট্রিকে ভেঙে যায় প্যারিসের দলটির স্বপ্ন। পরে অবশ্য লিগ শিরোপা জিতেছিল ক্লাবটি। পুরো মৌসুমে এমবাপের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। এবার ব্যালন ডি’অরে বেনজেমাকে ফেভারিট মানলেও ভবিষ্যতে এই পুরস্কার জেতার স্বপ্ন দেখছেন এমবাপে। পিএসজি অধ্যায়েই সেটা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। “আমি নিশ্চিত পিএসজিতে থাকাকালীন আমি একটি ব্যালন ডি’অর জিততে পারব।” “খেলোয়াড়রা যখন বলে তারা ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবে না, তখন আসলে তারা মিথ্যা বলেৃআমি আগে সেরা দশে থাকতে পেরে খুশি হতাম। এখন আমি নিয়মিত সেরা চার বা পাঁচে থাকি।”