শনিবার গভীর রাতে যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসদরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতি সংঘটিতকালে একজন নৈশ প্রহরীর মৃত্যু হয়েছে। ডাকাত আটকের জন্য অভিযান চলছে। দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার গভীর রাত পৌনে ৩ টার দিকে পৌর সদরের রাজাপটির ঝিকরগাছা অটো ইলেক্ট্রিকাল ওয়ার্কশপ ব্যাটারীর দোকানে গভীর রাতে দুর্র্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতদল বাজারের নৈশ প্রহরী সামাদ, সুকুমার, ইউসুফ, কামালকে হাত-পা বেঁধে মুখে কসটেপ দিয়ে আটকিয়ে দোকানের পাশে ফেলে রাখে। এরপর ওই দোকান থেকে ২৫ টা গাড়ির ব্যাটারী নিয়ে যায়। দোকান মালিক খায়রুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ব্যাটারীর মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা হবে।
সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা গিয়েছে ওই দোকান ছাড়াও মিজান ট্রেডার্সের ২ তলার ক্লাপসিবলগেটের তালা, শাওন ফার্নিচার দোকানের তালা এবং সানভিকা এন্টারপ্রাইজ ব্যাটারীর দোকানের তালা কেটেছে ডাকাতদল। তবে ওই দোকানগুলো থেকে মালামাল নিতে পারেনি।
ঝিকরগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার গৌতম কুমার জানান, রাত অনুমান পৌনে ৩ টায় খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্তের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পৌরসদরের রাজাপটিতে আমরা পৌছায়। সেখানে নৈশ প্রহরীদের একজন আবদুস সামাদ (৮০) কে অচেতন অবস্থায় পায়। তাকে দ্রুত ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ওই সময়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সায়মা সানজিদা দুপুরে জানান, তাকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। মৃত্যু নৈশ প্রহরী ঝিকরগাছা ইউনিয়নের বেড়েলা গ্রামের মৃত তুরফান মোড়লের ছেলে আবদুস সামাদ (৮০)। নিহতের ছেলে অসচ্ছল নুরনবী এ হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। অপর তিনজন নৈশপ্রহরী সুস্থ আছেন।
নৈশপ্রহরীদের সুপারভাইজার সুকুমার জানান, অনুমান রাত ৩ টায় আমি নিয়মিত তদারকিকে আসলে আমাকে সহ চারজনকে হাত-পা বেঁধে মুখে কসটেপ দিয়ে পাশে ফেলে রাখতে দেখি। এরপর আমরা কৌশলে বাঁধন খুলে বিভিন্ন স্থানে খবর দেই। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে।
দুপুরে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, ডাকাতদল আটকে অভিযান চলছে, অচিরেই একটা ভালো খবর পাবেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।