বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ ও বৈরি আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে প্রমত্তা মেঘনা ক্রমেই উত্তাল হয়ে ওঠেছে। পূর্ণিমার জো'তে মেঘনায় জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার দৌলতখান শহরক্ষাবাঁধ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। উত্তাল মেঘনার জোয়ারে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তান্ডবে দৌলতখান পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের শহর রক্ষাবাঁধ ভাঙছে। বৈরি আবহাওয়া ও জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধের কয়েকটি জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়ায় ক্রমেই বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রচ- ঢেউয়ের ঝাপটায় শহর রক্ষাবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অরক্ষিত শহর রক্ষাবাঁধ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে জোয়ারের পানি ঢুকে এলাকায় চরম দুর্ভোগ নেমে আসার আশন্কা বিরাজ করছে। বাঁধে আশ্রয় নেয়া মেঘনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও নদী সিকস্তি অনেক পরিবারের ঘরবাড়ির ভিটেমাটি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। অরক্ষিত দৌলতখান শহর রক্ষাবাঁধ ভাঙছে এমন সংবাদে শনিবার ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত অরক্ষিত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান, মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার সাথে ছিলেন। এদিকে গত রাতে জোয়ারের তীব্র ঢেউয়ের তা-বলীলায় বেড়িবাঁধের অনেকাংশ মেঘনায় নিমজ্জিত হয়ে গেছে। অরক্ষিত বেড়িবাঁধে ভাঙনের তা-বলীলায় ঘনজনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার মানুষ গতকাল নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রোববার সকাল থেকে স্থানীয়রা গাছপালা কেটে ও গাছের ঢালা দিয়ে ঢেউয়ের ঝাপটা রোধে বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা করছে। নদী সিকস্তী জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি জানান, বেড়িবাঁধের পাশে আশ্রয় নিয়ে আছি। যে কোন মূর্হুতে বাঁধটি ভেঙে গেলে কোথাও আশ্রয় নিয়ে মাথা গুজার ঠাই নেই। এমন আকুতির কথা জানালেন অনেকেই। দৌলতখান শহর রক্ষাবাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।