নির্বাচন আসলেই কিছু লোকজন জোট হয়, তার মধ্য থেকে আবার জট হয়। তারপর তারা আবার নির্বাচনে যায় না। নানা খেলা দেখা যায়। এরকম খেলা আমরা বহু বছর ধরে দেখছি, এটা নতুন কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে ‘অশ্রুঝরা আগস্টে শোকসঞ্জাত শক্তির অন্বেষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন কী একটা মঞ্চ হয়েছে, নাম গণতন্ত্র মঞ্চ। সেখানে যে নামগুলো দেখছি তারা আর গণতন্ত্র মঞ্চ এই দুটোকে মেলানো বড় কঠিন। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যে কোনো দল জোট বা সবকিছু হতে পারে। দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। তাকে হত্যা করা হবে তিনি জানতেন, তবে বিশ্বাস করতেন না। তিনি মনে করতেন, বাঙালিরা তাকে কখনো হত্যা করতে পারে না। তারপরও তার গড়া স্বাধীন দেশে তাকে হত্যা করা হলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে না চিনলেও বঙ্গবন্ধুকে চিনতো। বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষের বিশ্ব মোড়লরা তাকে থ্রেড হিসেবে মনে করতো। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে নির্বংশ করার চিন্তার কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ভয় পেতো। তারা মনে করতো বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ বেঁচে থাকলে তারা ফের দেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিয়ে যাবে। দেশে না থাকার কারণে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা এখন বাবার আদর্শকে বহন করে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। তিনি তার বাবার মতো যা বলেন তা করেন। তাই তাকেও ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছে ওই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবে ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুর রশীদ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট বিভু রঞ্জন সরকার।