দাকোপে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তালিকাভুক্ত রাজাকার উপজেলা চেয়ারম্যানের অংশ গ্রহনের প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে। অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলা চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি করে সভাস্থল ত্যাগে বাধ্য হয়।
দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীর জনকের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে দাকোপে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দাকোপ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে শুরু হয় শোক দিবসের আলোচনা। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস। একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে দাকোপ উপজেলা প্রশাসন ঘোষিত রাজাকারের তালিকায় ১৪ নাম্বারে নাম থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান উপস্থিত হলে অংশ গ্রহনকারী বীরমুক্তিযোদ্ধারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহিত চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মহান স্বাধীনতার স্থপতির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কোন চিহ্নিত রাজাকারের সাথে বসে মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠান করতে পারেনা। এ কথা বলে তারা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনার পর শোক সভায় উপস্থিতিদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান অনুষ্ঠানে শুরুতে নিজের বক্তৃতা পর্ব শেষ করে তড়িঘড়ি করে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর প্রধান অতিথিসহ উপজেলা প্রশাসনের অনুরোধে বীর মুক্তিযোদ্ধরা পুনরায় শোক সভায় অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান নির্বাচীত হওয়ার পর প্রথম বারের মত মহান বিজয়ে দিবসে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিলে সেখানেও অনুরুপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তিনি অদ্যবধী বিজয় দিবসের যে কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত আছেন।