নিরাপদ ছাত্রাবাসের দাবিতে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ৮টা থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
এ পরিস্থিতিতে বরিশাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।
আজ দুপুর ১২টার দিকে অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন জানান, এখনও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। তাদের শান্ত করতে কী করণীয় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৩টি করে পৃথক ৬টি হল আছে। যার প্রতিটি হলের অবস্থা জরাজীর্ণ। হলগুলোর ছাদের পলেস্তরা প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে। অনেক সময় এতে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছেন।
ছাত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী লিসা আক্তার জানান, ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় আমাদের। এখন আমাদের দাবি নিরাপদ হল।
এহসান উল্লাহ নামে এক আবাসিক ছাত্র জানান, ছেলেদের তিন ছাত্রাবাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। মঙ্গলবার রাতেও আমাদের এক সহপাঠীর রুমের পলেস্তরা খসে পড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। আমাদের একটাই দাবি আমরা নিরাপদ হল চাই।
শিক্ষার্থী তাহসিন আহম্মেদ জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। দ্রুত হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের ছাত্রদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া এ বিষয়ে আগেও আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হল নির্মাণ করা হয়নি। আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না ঘটলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাগর হোসেন বলেন, সাত দিনের মধ্যে হল নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। এ ছাড়া ঝুকিপূর্ণ হলের ছাত্র ও ছাত্রীদের নিরাপদ স্থানে রাখার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, কলেজে দুটি ছাত্রাবাস নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু করতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সচিব কিছুক্ষণ আগে ফোন করে ছাত্রাবাস সংস্কারের কথা বলেছেন। আমরা অতিদ্রুত কাজ শুরু করবো।