নিরাপদ হলের দাবিতে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে ও অধ্যক্ষ কার্যালয় ঘেরাও করে বুধবার সকালে বিক্ষোভ করছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবামেক) শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুবদ্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে পৃথক ছয়টি হোস্টেল রয়েছে। প্রতিটি হোস্টেলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। প্রতিনিয়ত হলগুলোর ছাদের পলেস্তরা খসে পরছে। এতে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, প্রতিনিয়ত তাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। তাই নিরাপদ হল তাদের সময়ের দাবি।
শিক্ষার্থী এহসান বলেন, ছেলেদের তিন ছাত্রাবাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতেও ওই হলের একটি রুমে ছাদের পলেস্তরা খসে পরেছে। এতে এক সহপাঠী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তাই আমাদের একটাই দাবি, আমরা নিরাপদ হল চাই।
আরেক শিক্ষার্থী তাহসিন জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রুত এই হলের ছাত্রদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ আমাদের অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হল নির্মাণ করা হয়নি। তাই আবাসন সঙ্কট নিরসনে নতুন হল নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, একনেকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটটি পুরাতন মেডিক্যাল কলেজে একটি ছেলে ও একটি মেয়েদের আবাসিক হলসহ মোট ১৬টি হল নির্মাণ করা হবে। যার কাজ দ্রুতই এগুচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সচিবের সাথে কথা হয়েছে। তিনি আপাতত হলগুলো দ্রুত সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।