চিরিরবন্দরে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত বনায়ন প্রকল্পের লাগানো ৩ হাজার সাড়ে ৫শ’ বিভিন্ন জাতের বনজ গাছ প্রকাশ্যে দিনের বেলা উপড়ে ফেলে দিয়েছে দূর্বত্তরা। এ ঘটনাটি গতকাল ১৭ আগস্ট বুধবার সকাল আনুমানিক ৯টায় উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের দামুয়ারপাড় নামক স্থানে ঘটেছে। অনেকেই বলছেন-গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!
জানা গেছে, উপজেলার সাতনালা ও নশরতপুর ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া একটি ক্যানেলের খনন ও বৃক্ষরোপন কাজ নেয় ঠিকাদার মোঃ মাহবুর রহমান। তিনি ওই ক্যানেলের কিছু অংশ খনন করে তার ওপর বৃক্ষরোপন শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩দিন ধরে তিনি শ্রমিক দিয়ে নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের দামুয়া বিলের পশ্চিম পাশ থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিকে অর্ধ কিলোমিটার জায়গায় ক্যানেলে ধারে মেহগিনি, আমলকী, হরিতকী, বহেরা, নিম, আকাশমনিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৩ হাজার সাড়ে ৫ শত বনজ গাছ লাগান। হঠাৎ গতকাল ১৭ আগস্ট বুধবার সকাল আনুমানিক ৯টা দিকে ১৮/২০ জন লোকের একটি দল ওইস্থানে এসে শ্রমিকদের মারপিট করে লাগানো গাছগুলো উপড়ে ফেলে দেয় ক্যানেলের ধারে ও পানিতে।
দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের রিকশাভ্যান চালক হামিদুল হক জানান, আমি ৩দিন ধরে দেখছি শ্রমিকরা ক্যানেলের ধারে গাছ লাগাচ্ছেন। এখন দেখছি ক্যানেলের ওপরে লাগানো গাছগুলো নেই। গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!
শ্রমিক হযরত আলী ও নজরুল ইসলাম জানান, সকাল আনুমানিক ৯টা দিকে আর্কস্মিকভাবে ১৮/২০ জনের মতো মানুষ এসে আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং মারপিট করে। এ সময় তারা লাগানো গাছগুলো উপড়ে ক্যানেলের ধারে ও পানিতে ফেলে দেয়।
ঠিকাদার মোঃ মাহবুর রহমান বলেন, ক্যানেলের ধারের জমির মালিকেরা জোটবদ্ধভাবে এসে শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়ে তাদেরকে মারপিট করে এবং লাগানো গাছগুলো উপড়ে ক্যানেলের ধারে ও ক্যানেলের পানিতে ফেলে দেয়। এতে ক্যানেলের ওপর গাছ লাগানো, শ্রমিকদের মজুরী, গাছের চারারমূল্যসহ অন্তত পৌঁণে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খালিদ হাসানকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলে জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল ওহাব বলেন, ক্যানেলের ধারে লাগানো গাছ উপড়ে ফেলার বিষয়টি আমাকে ঠিকাদারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ঠিকাদারকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়কে জানানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ খালিদ হাসান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।