প্রচন্ড তাপদহে যখন জন জীবন যখন অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই এক পশলা বৃষ্টি নেমে আসে। যেন মুহুর্তেই তপ্ত আবহাওয়া শীতল হয়ে যায়। প্রচন্ড রোদের মধ্যেই বিকেল সাড়ে ৪টা থেকেই শুরু হয় পুবালি বাতাস। বাতাস বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি নামতে শুরু করে। প্রচন্ড রৌদে তপ্ত মানুষের মাঝে প্রশান্তির নিশ্বাস নেমে আসে। চারদিক অন্ধকারে ছেয়ে যায়। বিকেল বেলায় যেন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। প্রকৃতির এই আলো আধারি আর রোদ বৃষ্টির খেলা আমাদের জানান দিচ্ছে এখন বর্ষা ঋতু। আবহমান কালজুড়ে ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ হলেও কার্যত চার ঋতুতে চলে আসছে প্রকৃতিট নিয়ম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠিতে হটাৎ শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। এতে গরমে স্বস্তি মিললেও বিপাকে পড়তে হয় সড়কে থাকা মানুষদের। হঠাৎ প্রচন্ড বাতাস-বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অনেকে গন্তব্যে যেতে না পেরে সড়কেরই আটকা পড়ে। মূল শহরে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। তুফানে পড়ে বিপদে পড়তে হয়েছে নদীর খেয়া পাড়াপারের ট্রলার যাত্রীদের।
ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় চলন্ত অটোরিক্সার উপর গাছ পরে চালক আহতর খবর পাওয়া গেছে।
প্রায় ৪০ মিনিটের বাতাস ও মুসল বেগে বৃষ্টিতে মুহুর্তেই তলিয়ে গেছে শহরের রাস্তাঘাট। বেগ পেতে হয়েছে ঘরের বাহিরে থাকা নারী ও শিশুদের। কেনাটাকায় বাজারে আসা অনেককেই আটকা থাকতে হয়েছে বন্ধ দোকানের ভেতর। কালো মেঘ ও বিদ্যুৎ না থাকায় শহরজুরে অন্ধকার নেমে আসে।
ভাদ্র মাসের ভ্যাপশা গরমে মানুষসহ প্রাণীক’ল অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল। এক পশলা বৃষ্টি শীতলতা বনে এনেছেন। আকাশ অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে পরেছে বিকেলেই মনে হচ্ছে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। রাস্তা ঘাট জনশূণ্য হয়ে পরেছে।