গভীর সমূদ্রে গিয়ে ভোলার লালমোহনের মাছ ধরা ট্রলার ঝড়ের কবলে পরে ডুবে গেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৩ মাঝি মাল্লা সমূদ্রে ডুবে যায়। তাদের ৮জনকে ভাসমান অবস্থায় অন্য ট্রলার উদ্ধার করে সুন্দরবনে নিয়ে যায়। বাকী ৫ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ডুবে যাওয়া ফিসিং বোটটি লালমোহন উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন বাতিরখাল এলাকার হারুন অর রশিদ ফারুকের। তিনি ওই এলাকার নুরুল ইসলাম মেম্বারের ভাই। ডুবে যাওয়া বোট, ইঞ্জিন, জাল, তেল মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার সম্পদ ছিল বলে মালিক জানান। বোটের মালিক হারুন অর রশিদ ফারুক যুগান্তরক জানান, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে তার মাছ ধরা বোট এফভি লামিয়া বাতিরখাল ঘাট থেকে ১৩ জন মাঝি মাল্লা নিয়ে গভীর সমূদ্রে যায়। ওইসময় ঝড়ের কোন সিগন্যাল ছিল না। পরে সিগন্যাল শুরু হয়। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে বোটটি হঠাৎ গভীর সাগরের ‘সালসার ভয়া’ এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় বোটে পানি উঠে মাঝি মাল্লাদের নিয়ে ডুবে যায়। তাদের সন্ধান না পেলেও শনিবার সকালে সুন্দরবন এলাকা থেকে ফোনে জানতে পারেন, অন্য দুটি বোটে ৮ জন জেলে উদ্ধার হয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় আছে। বাকী ৫জনের এখনো কোন সন্ধান পাননি বলে জানান ডুবে যাওয়া বোটের মালিক হারুন অর রশিদ ফারুক। নিখোঁজ জেলেরা হলেন বোট মালিকের ভাই আবদুল মোতালেব, চতলা এলাকার আবুল কালাম, আরিফ, নিরব ও দালাল বাজার এলাকার মাকসুদ। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন ছালাউদ্দিন মাঝি, ওবায়দুল্লাহ, মাকসুদুর রহমান, নাজিম, নাসির মিস্ত্রি, সেলিম, মফিজুল ইসলাম ও সফিজল। তাদের বাড়িও চতলা ও দালাল বাজার এলাকায়। লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, শুক্রবার রাতে এলাকার মেম্বার সাগরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজের সংবাদ জানিয়েছিল। এরপর আর কেউ কিছু জানায়নি।