চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী ( ১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অভিযুক্ত শাকিবকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা খায়রুল মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা ইসমাইল হোসেন গোমস্তাপুর থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ররিবার বিকেল তিনটার পর ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই সময় প্রতিবেশী শাকিব তাঁকে ডাক দেন। ডেকে বলেন, মা তোমাকে ডাকছে। তাঁর কথা শুনে ওই ছাত্রী তাঁদের বাড়িতে যায়। সেখানে এসে দেখে তাঁর মা নেই। এমনকি বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ওই সুযোগে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে। পরে সেখান থেকে পালিয়ে এসে স্কুল ছাত্রী ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানায়। এ ঘটনার পর সোমবার সকালে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁকে। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে শাকিব বিভিন্ন সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসত। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমাস আলী সরকার জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ইসমাইল হোসেন সোমবার রাতে গোমস্তাপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। পরে অভিযুক্ত শাকিবকে আটক করা হয়েছে।