পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার মহাখুশি শেরপুরের নকলার পাট চাষিরা। পুকুর ও ডোবায় জাগ দেওয়া পাট ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। যদিও এবার পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল ওয়াদুদ জানান এবার উপজেলায় ৪’শ ৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাটের দাম চড়া হওয়ায় কৃষকরা পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হয়ে উঠেছে। সরকারের পাট জাতদ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি হিসেবে পাট কাটিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে উপজেলার কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাট চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ হাতে-কলমে চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখাসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করে। গত বছর পাট প্রতিমণ বিক্রি হয়েছিল প্রকার ভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫’শ টাকা পর্যন্ত। এবার গত বছরের তুলনায় প্রতিমণ পাট বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে পাট চাষিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়। পাট চাষিদের মনে যেন হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি, পাটের নানাবিধ ব্যবহার বৃদ্ধি ও পাটের ভালো দাম পাওয়ায় দিনদিন উপজেলায় পাটের আবাদ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা হলেও যেখানে পানি রয়েছে সেখানে পর্যায়ক্রমে পাট জাগ দিচ্ছেন উপজেলার কৃষকরা। সর্বোপরি নকলায় দিনদিন পাটের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।