বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়৷
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কে শোভাযাত্রা বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়৷
বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিলো। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে দেখা যায় বিএনপি কর্মীদের। অন্যদিকে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের সরানোর চেষ্টা করে।
সংঘর্ষের সময় আহত একজনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন বিপুল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শাওন প্রধান নামের ২০ বছর বয়সী ওই যুবকের বুকে ‘গুলির চিহ্ন’ রয়েছে৷
“হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে৷ এ ছাড়া আরও ২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন “
নিহত শাওন ফতুল্লার পঞ্চবটি নবীনগর এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে৷ তিনি যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।
এদিকে সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশেই মর্গ্যান স্কুলে তখন পরীক্ষা চলছিল। সে সময় টিয়ারশেলের গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে পাঁচ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান চিকিৎসক নাজমুল।
জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “তারা কোনো ধরনের পূর্বানুমতি ছাড়াই সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছিলেন। তাতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।”
এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটানো হয় জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ছোড়ে।”
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের অন্তত ১৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।