বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটলমেন্ট বা আরটিজিএসের মাধ্যমে দেশে তাৎক্ষণিকভাবে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অনলাইনে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন চালু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, কানাডিয়ান ডলার ও জাপানের ইয়েন এই পদ্ধতিতে ক্লিয়ারিং ও নিষ্পত্তি করছে। গত রোববার উদ্বোধনের প্রথম দিনে বৈদেশিক মুদ্রায় ৫২টি লেনদেন নিষ্পন্ন হয়। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সেলিম আর এফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, আরটিজিএস ব্যবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রায় অটোমেটেড ক্লিয়ারিং বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। তিনি বলেন, এ ব্যবস্থাটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ক্লিয়ারিং ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হবে। চেক বা এফডিডি নিয়ে ক্লিয়ারিংয়ের জন্য কোনো ব্যাংক প্রতিনিধিকে আর ক্লিয়ারিং হাউসে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে না। ফলে চেক বা এফডিডি ড্যামেজ হওয়া বা হারিয়ে যাওয়াসংক্রান্ত ঝুঁকি এবং প্রতারণা বা জালিয়াতির সুযোগ আর থাকবে না। এফডিডি ক্লিয়ারিংয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো, এখন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এতদিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, কানাডিয়ান ডলার ও জাপানের ইয়েন কাগজ-কলমভিত্তিক সনাতন লেনদেন ব্যবস্থায় নিষ্পত্তি হতো। এতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের সঙ্গে কাগুজে নথি ব্যবহার করে ব্যাংকের কর্মকর্তারা হাজির হয়ে লেনদেন নিষ্পত্তি করতেন, যাতে অনেক সময় লাগত। তবে আরটিজিএস পদ্ধতির ফলে সেই ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলেছে। ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিকভাবেই এ লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারবে। এর আগে ২৮ আগস্ট এসংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।