পাবনার সুজানগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’টি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের জের ধরে একটি মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কোন একসময় উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে অবস্থিত ওই মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করা হয়। এতে প্রায় ৩০লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রকল্পের মালিক উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের স্ত্রী হালিমা খাতুন জানান।
সুজানগর থানার ডিউটি অফিসার সানোয়ার হোসেন জানান, গত রোববার সন্ধ্যা রাতে জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের প্রভাবশালী মোকাই শেখের গোষ্ঠী ও আক্কাছ আলী বিশ্বাসের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় হয়। সংঘর্ষে মোকাই শেখের গোষ্ঠীর লোক মোয়াজ্জেম হোসেন শেখের ছেলে এরশাদ আলী শেখ (৩২) আক্কাছ আলী বিশ্বাসের গোষ্ঠীর লোক উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের ছেলে হালিম বিশ্বাসের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় সুজানগর থানায় ১৭জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসসহ ৩জনকে গ্রেফতা করে। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন আজম আলী বিশ্বাস গ্রেফতার হওয়ার পর বিশ্বাস গোষ্ঠীর অধিকাংশ লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর এ সুযোগে মোকাই শেখের গোষ্ঠীর লোকজন ওই মৎস্য প্রকল্পে বিষ প্রয়োগ করে ক্ষতি সাধন করে। এর আগে ওই হত্যার জের ধরে ওই আজম আলী বিশ্বাসের একটি পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম, একটি গবাদি পশুর ফার্ম ও আক্কাছ আলী বিশ্বাসের বাড়িতে আগ্নি সংযোগ করা হয়। আগুনে একটি বাছুর গরু, হাজার পোল্ট্রি মুরগি ও বাচ্চা এবং আক্কাছ আলী বিশ্বাসের একটি টিনের ঘরসহ বেশ কয়েক মণ পাট পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৫০লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি। থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হান্নান জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য প্রকল্প পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।